[email protected] ঢাকা | শুক্রবার, ১৯শে ডিসেম্বর ২০২৫, ৫ই পৌষ ১৪৩২
thecitybank.com

যে ৩ শ্রেণির নামাজির জন্য পরকালে আছে ভয়াবহ শাস্তি

চাঁপাই জার্নাল ডেস্ক:

প্রকাশিত:
১৮ ডিসেম্বার ২০২৫, ১৮:০৯

ছবি: সংগ্রহীত
৫ ওয়াক্ত নামাজ অন্যতম ফরজ ইবাদত
 
নামাজ অন্যতম ফরজ ইবাদত। পবিত্র কুরআনে ৮২ বার নামাজের কথা এসেছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘যখন তোমরা সালাত (নামাজ) পূর্ণ করবে তখন দাঁড়ানো, বসা ও শোয়া অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ করবে। অতঃপর যখন নিশ্চিন্ত হবে, তখন সালাত (পূর্বের নিয়মে) কায়েম করবে। নিশ্চয়ই সালাত মুমিনদের ওপর নির্দিষ্ট সময়ে ফরজ। (সুরা নিসা, আয়াত: ১০৩)।
 
আবার হাদিসেও একাধিকবার নামাজ আদায়ের কথা এসেছে। সেই সঙ্গে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে ওয়াক্তমতো নামাজ আদায়ের ওপরও। এমনকি খোদ মহান আল্লাহর কাছেও যথাসময়ে সালাত আদায় করা অধিক প্রিয় আমল।
 
আবদুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রা.) বর্ণনা করেন, আমি রাসুল (সা.) কে জিজ্ঞাসা করলাম, কোন আমল আল্লাহর নিকট অধিক প্রিয়? তিনি বললেন, যথাসময়ে সালাত আদায় করা। ইবনু মাসঊদ (রা.) পুনরায় জিজ্ঞাসা করলেন, এরপর কোনটি? তিনি বললেন, এরপর পিতা-মাতার প্রতি সদ্ব্যবহার। ইবনু মাসঊদ (রা.) আবার জিজ্ঞাসা করলেন, এরপর কোনটি? রাসুল (সা.) বললেন, এরপর আল্লাহর পথে জিহাদ বা জিহাদ ফী সাবিলিল্লাহ্। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৫০২)
 
তবে ৩ শ্রেণির নামাজি আছে যাদের জন্য পরকালে আছে ভয়াবহ শাস্তি। এই ৩ শ্রেণির নামাজি হলো-  যারা লোক দেখানোর জন্য নামাজ আদায় করে, যারা নামাজে অমনযোগী ও যারা নামাজে চুরি করে (অর্থাৎ, রুকু-সিজদা ঠিকমতো আদায় করে না)।
 
এরমধ্যে পবিত্র কুরআনে ২ শ্রেণির নামাজির কথা এসেছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘অতএব সেই সালাত (নামাজ) আদায়কারীদের জন্য দুর্ভোগ, যারা নিজদের সালাতে অমনোযোগী, যারা লোক দেখানোর জন্য তা করে। (সুরা মাউন, আয়াত: ৪-৬)
 
অন্যদিকে আবু ক্বাতাদাহ্ (রা.) থেকে বর্ণিত আরেকটি হাদিসে তৃতীয় শ্রেণির নামাজির কথা এসেছে। তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- চুরি হিসেবে সবচেয়ে বড় চোর হলো ওই ব্যক্তি যে সালাতে (আরকানের) চুরি করল। এ কথা শুনে সাহাবীরা জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসুল! সালাতের চুরি কীভাবে হয়? জবাবে নবীজি (সা.) বললেন, সালাতের চুরি হলো রুকু-সিজদা পূর্ণ না করা (ঠিকমতো আদায় না করা)। (মেশকাত, হাদিস: ৮৮৫)
 
এছাড়াও আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আরেকটি হাদিসে এসেছে, একবার রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে প্রবেশ করলেন, তখন একজন সাহাবী এসে সালাত (নামাজ) আদায় করলেন। তারপর তিনি নবীজিকে (সা.) সালাম করলেন। নবীজি (সা.) তার সালামের জবাব দিয়ে বললেন, আবার গিয়ে সালাত আদায় কর। কেননা, তুমি তো সালাত আদায় করনি। তখন ওই সাহাবী ফিরে গিয়ে আগের মতো সালাত আদায় করলেন। তারপর এসে রাসুল (সা.) কে সালাম করলেন। এভাবে তিনবার নবীজি (সা.) তাকে বললেন- ফিরে গিয়ে আবারও সালাত আদায় কর। কেননা, তুমি সালাত আদায় করনি।
 
একপর্যায়ে ওই সাহাবী বললেন, সেই মহান সত্তার শপথ! যিনি আপনাকে সত্যসহ প্রেরণ করেছেন- আমি তো এর চেয়ে সুন্দর করে সালাত আদায় করতে জানি না। কাজেই আপনি আমাকে শিখিয়ে দিন। তখন নবীজি (সা.) বললেন- যখন তুমি সালাতের জন্য দাঁড়াবে, তখন তাকবীর বলবে। তারপর কুরআন থেকে যা তোমার পক্ষে সহজ তা পড়বে। তারপর রুকুতে যাবে এবং ধীরস্থিরভাবে আদায় করবে। তারপর সিজদা থেকে উঠে স্থির হয়ে বসবে। আর এভাবেই পুরো সালাত আদায় করবে। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৭২১)
 
ডেস্ক/ই.ই

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর