প্রকাশিত:
১২ অক্টোবার ২০২৫, ১৬:৩০
আল্লাহ তায়ালা নিজের দয়া ও অপার রহস্যে পৃথিবীতে দুই ধরনের সাগর সৃষ্টি করেছেন। ১. সর্ববৃহৎ যাকে মহাসাগর বা সমুদ্র বলা হয়। পুরো পৃথিবী এর মাধ্যমে পরিবেষ্টিত। এর প্রায় এক-চতুর্থাংশ এ জলধির বাইরে উন্মুক্ত, যাতে সারা বিশ্বের মানব সমাজ বসবাস করে। এই সর্ববৃহৎ সাগরের পানি রহস্যবশত তীব্ৰ লোনা ও বিস্বাদ।
২. পৃথিবীর স্থলভাগে আকাশ থেকে বর্ষিত পানির ঝর্ণা, নদনদী, নহর ও বড় বড় সাগর আছে। এগুলোর পানি মিষ্ট ও সুপেয়। মানুষের নিজেদের তৃষ্ণা নিবারণে এবং দৈনন্দিন ব্যবহারে এমন পানিরই প্রয়োজন, যা আল্লাহ তায়ালা স্থলভাগে বিভিন্নভাবে সরবরাহ করেছেন।
সমুদ্রে স্থলভাগের চাইতে অনেক বেশি সামুদ্রিক জন্তুজানোয়ার বসবাস করে। এগুলো সেখানেই মারা যায়, সেখানেই পচে এবং সেখানেই মাটি হয়ে যায়। পুরো পৃথিবীর পানি ও আবর্জনা অবশেষে সমুদ্রে পতিত হয়।
যদি সমুদ্রের পানি মিষ্ট হত, তবে মিষ্ট পানি দ্রুত পচনশীল বিধায় দু’চার দিনেই পচে যেত। এই পানি পচে গেলে তার দুর্গন্ধে ভূপৃষ্ঠের অধিবাসীদের জীবনধারন দুরূহ হয়ে যেত। তাই আল্লাহ তায়ালা তাকে এত তীব্ৰ লোনা, তিক্ত ও তেজস্ক্রিয় করে দিয়েছেন যেন সারা বিশ্বের আবর্জনা তাতে পতিত হয়ে বিলীন হয়ে যায় এবং সেখানে বসবাসকারী যে সকল সৃষ্টজীব সেখানে মরে, তাও পচতে পারে।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা সমুদ্র সৃষ্টির এই রহস্য নিয়ে বলেন,
وَ هُوَ الَّذِیۡ مَرَجَ الۡبَحۡرَیۡنِ هٰذَا عَذۡبٌ فُرَاتٌ وَّ هٰذَا مِلۡحٌ اُجَاجٌ ۚ وَ جَعَلَ بَیۡنَهُمَا بَرۡزَخًا وَّ حِجۡرًا مَّحۡجُوۡرًا
তিনিই সমুদ্রকে দু’ ধারায় প্রবাহিত করেছেন- একটি সুপেয় সুস্বাদু আরেকটি লবণাক্ত কটু, উভয়ের মাঝে টেনে দিয়েছেন এক আবরণ- এক অনতিক্রম্য বিভক্তি-প্রাচীর। (সুরা আল ফুরকান, আয়াত : ৫৩)
ডেস্ক/ই.ই
মন্তব্য করুন: