ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) প্রার্থী তালিকা তৈরি করছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। তিনি বলেন, ‘চলতি ডিসেম্বরের মধ্যেই ৩০০ আসনে চূড়ান্ত তালিকা দেওয়া হবে।’
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় পঞ্চগড় জেলা শহরের জুলাই স্মৃতিস্তম্ভে উন্নয়ন বরাদ্দ পাওয়া বিভিন্ন মসজিদের মন্দিরের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে তিনি এ কথা বলেন।
রাজনৈতিক জোটের বিষয়ে সারজিস আলম বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে অ্যালায়েন্সের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেব না।
আলোচনা এখনো চলছে। যারা সংস্কারের পক্ষে থাকবে, জুলাইয়ের আকাঙ্ক্ষার পক্ষে থাকবে, ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে মুসলিম সেন্টিমেন্ট ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির রাজনীতি যারা ধারণ করতে পারবে তাদের সঙ্গে অ্যালায়েন্সের পথ এখনো খোলা আছে। শিগগিরই এটার আমরা সুন্দর সমাধান দেখতে পাব। মাঝে আমাদের জোট ঘোষণার কথা ছিল।
কিন্তু এই জোট ঘোষণার যে রূপরেখা ও বিস্তৃতি আরো বড় হওয়া প্রয়োজন মনে করি। আশা করছি শিগগিরই বড় আকারে জোট প্রকাশিত হবে।’
সদ্যঘোষিত পঞ্চগড় জেলা কমিটিতে জাতীয় পার্টির তিন নেতাকে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে সারজিস বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করেছি যেই মানুষগুলোর ভালো ইমেজ আছে, যারা মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য এবং ভালো রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা ও সচেতনতা আছে আমরা তাদের নেওয়ার চেষ্টা করেছি। একটা শর্ত সব সময় আমাদের ছিল যারা গণ-অভ্যুত্থান চলাকালীন আওয়ামী লীগের যে কোনো ইউনিটে রানিং পদধারী ছিল তাদের আমাদের আহ্বায়ক বা সমন্বয় কমিটিতে শুধু পঞ্চগড়ে নয় বাংলাদেশের কোথাও রাখিনি।
আবার রানিং ছিল না বাট লোকটার ইমেজ ভালো। আমাদের এখানে বেশ কয়েকজন মানুষ আছেন যারা পূর্বে বিএনপি, জাগপা ও জাতীয় পার্টির সঙ্গে সম্পৃক্ততা ছিল। কিন্তু চব্বিশে তারা রানিং কোনো পদ-পদবিতে ছিলেন না। তারা বলেছে ওই সময়ে তারা রাজনৈতিক রীতিনীতি, নেতাকর্মীদের শৃঙ্খলাসহ সমাগ্রিক বিষয়ে তারা বিরক্ত হয়ে ওই আদর্শের সঙ্গে মেলাতে না পেরে তারা রাজনীতি থেকে দূরে সরে গিয়েছিল। এখন তারা দেখছে এনসিপি দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, সিন্ডিকেট, টেন্ডারবাজি থেকে শুরু করে সব অপকর্মের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে এবং নতুন রাজনীতির চর্চা করছে এবং লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।
তাই তারা এনসিপিতে আসার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আমরাও তাদের খোঁজখবর নিয়ে তাদের এনসিপিতে নিয়ে এসেছি। আমরা একসঙ্গে কাজ করে আগামীর প্রত্যাশিত পঞ্চগড়কে গড়ে তুলব।’
তিনি বলেন, ‘আমরা গত তিন মাসে ২০০ মসজিদ-মন্দিরের জন্য প্রায় ৪ কোটি টাকা বরাদ্দ এনেছি, যা গত বিশ বছরে বড় বড় এমপি-মন্ত্রীরা আনতে পারেননি।’
এ সময় এনসিপির জেলা ও উপজেলার নেতাকর্মী ও জাতীয় যুবশক্তির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
ডেস্ক/ই.ই
মন্তব্য করুন: