[email protected] ঢাকা | শনিবার, ২৫শে অক্টোবর ২০২৫, ১০ই কার্তিক ১৪৩২
thecitybank.com

ইসলামের নামে রাজনীতি বন্ধ করতে হবে: পাপিয়া

নিজস্ব প্রতিনিধি:

প্রকাশিত:
২৫ অক্টোবার ২০২৫, ১০:৪৯

অ্যাডভোকেট সৈয়দা আসিফা আশরাফী পাপিয়া। ছবি: চাঁপাই জার্নাল
বিএনপির মানবাধিকার বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট সৈয়দা আসিফা আশরাফী পাপিয়া বলেছেন, সংস্কার কমিশনকে প্রথম সংস্কার করতে হবে ইসলামকে নিয়ে কোন রাজনৈতিক দল রাজনীতি করতে পারবে না। বেহেশত বা দোজখের টিকিট নিয়ে কোন রাজনৈতিক দল বেচা কেনা করে মানুষকে প্রতারণা করতে পারবে না। এছাড়া জামায়াতের মহিলারা তাফসীর ক্লাসের নাম করে কোরআনের ভূল ব্যাখা দিচ্ছে।
 
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার নেজামপুর ইউনিয়নের হাটবাকলে আয়োজিত এক পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে দলীয় মনোনয়ন পেতে নাচোল উপজেলার উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ ও পথসভায় অংশ নেন।
 
তিনি বলেন, আজকে বাংলাদেশ একটি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করেছে। নির্বাচন কার অধীনে হবে, অন্তবর্তীকালীন সরকারের অধীনে হবে নাকি তত্ত্বধায়ক সরকারের অধীনে হবে। অন্তবর্তীকালীন সরকারের একবছর পার হয়ে গেলো, তত্ত্বধায়ক সরকার আবার কোন দিন লাগবে। এই নিয়ে অনেক প্রশ্ন আছে। 
 
 
ঐক্যমত কমিশন নিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন ঐক্যমত কমিশন বিদেশ থেকে কিছু এজেন্ডা নিয়ে এসেছে। সেই এজেন্ডাগুলোর সাথে বাংলাদেশের মানুষ পরিচিত না। এটা আমাদের রাজনৈতিক অভ্যাস বা কালচারের সাথে কিন্ত মিলে না। যেমন, পিআর পদ্ধতি, উচ্চ কক্ষ ও নিন্ম কক্ষ এই সব আমাদের রাজনৈতিক কালচারের সাথে মিলে না। 
 
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের নিয়ে তিনি আরোও বলেন, মনোনয়ন প্রত্যাশীদের অবস্থা দেখেন এখানে ১৭ বা ১৮ জন মতো মনোনয়ন প্রত্যাশী। বাংলাদেশের কোথাও এতো মনোনয়ন প্রত্যাশী নাই। এর কারণ হলো যোগ্য এমপি না থাকা আর যোগ্য প্রাথীকে  মনোনয়ন দেওয়া না হয় তখন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানও মনে করি আমি তো ওর চাইতে বেশি যোগ্য। আমার মনোনয়ন চাইতে অসুবিধা কি। আবার ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বারও তাই মনে করে। নাচোল ধানের শীষের ঘাটি। এখানকার মানুষ ধানের শীষ ছাড়া কিছু বুঝে না। আর এই কারণেই এই আসনে এতো মনোনয়ন প্রত্যাশী। তাই স্পষ্ট করে বলতে চাই, মাঠের যোগ্য নেতৃত্বকে পালামেন্টে পাঠালেই গ্রুপিং বন্ধ হবে এবং কোন হঠকারীতা বন্ধ হবে। এখানে বিভিন্ন ভাবে যারা ভাগ হয়ে আছেন তারা সবাই আমার পরিচিত। সংগঠন করতে যেয়ে আমরা একসাথে মিছিল, মিটিং, বৈঠক, পুলিশের মার খেয়েছি। তাই যোগ্যতার প্রশ্নে অযোগ্য ব্যাক্তিরা যখন নমিনেশন পেয়ে যাচ্ছে তখন মনোমানিল্যের সৃষ্টি হচ্ছে। এখানে যত গ্রুপিং তা শুধু নমিনেশনকে কেন্দ্র করেই। 
 
বিএনপির কর্মীদের জামায়াতে যোগ দেওয়ার প্রসঙ্গে তিনি আরোও বলেন, বিএনপির বিভিন্ন কর্মী ও সমর্থকদের সাথে জামায়াত ইসলাম যোগাযোগ করছে এবং তাদেরকে তারা বলেন, আপনাদের মন মতো প্রার্থী নমিনেশন না পেলে আপনারা জামায়াত ইসলামে যোগ দিয়েন। আজকে নাচোল, ভোলাহাট ও গোমস্তাপুরবাসীকে বলতে চাই, জামায়াত সারাজীবনই বিএনপির শত্রু। আমরা চাঁপাইনবাবগঞ্জ বাসী বুঝতে পারছি অনেক আগে। বাংলাদেশের মানুষ আগে বুঝতে পারেনি কিন্ত এখন হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে।
 
গণসংযোগ ও পথসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি নেতা ফিরোজ, রনিসহ বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
 
এমএএ/আআ
 

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর