বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, “আগামী নভেম্বর মাসে গণভোট চাওয়ার প্রস্তাব মামার বাড়ির আবদারের মতো। জাতীয় নির্বাচনের দিনই যদি গণভোট নেওয়া যায়, তাহলে অতিরিক্ত খরচ ও সময় সাশ্রয় হবে। তবে গণভোটের বিষয়গুলো আরও স্পষ্ট করা উচিত— কোন কোন সংস্কার আনা হবে, তা জনগণকে জানাতে হবে।”
একইসঙ্গে তিনি এ কথাও বলেন যে, আওয়ামী লীগ সচল থাকবে নাকি নিষিদ্ধ হবে, সে সিদ্ধান্ত নেবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। তবে যারা অপরাধে জড়িত, তাদের বিচার অবশ্যই হতে হবে।
আজ (মঙ্গলবার) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
বিএনপির এই নেতা বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রসংসদ নির্বাচনে জিতলেই যে জাতীয় নির্বাচনে জিতবে, সেটি ভাবা ভুল। সব পেয়ে গেছি, এটা ভাবলে জামায়াতে ইসলামীর আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত হবে।
তিনি আরও বলেন, “নির্বাচন কোনো দলের অধীনে নয়, সরকারের অধীনেই অনুষ্ঠিত হয়। তাই এই নির্বাচন নিয়ে জনগণের মধ্যে কোনো সংশয় নেই। বরং, অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনেই একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব বলে সাধারণ মানুষের মধ্যে আস্থা তৈরি হয়েছে।”
রিজভী মনে করেন, একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট আয়োজন করলে খরচ কমবে এবং প্রশাসনিক কার্যক্রমেও সুবিধা হবে। তবে তিনি বলেন, “গণভোটের প্রস্তাবনা যতই যুক্তিযুক্ত হোক না কেন, সেটি বাস্তবায়নের আগে স্পষ্টভাবে জানাতে হবে যে কোন কোন বিষয়ে জনমত নেওয়া হবে।”
নভেম্বর মাসের মধ্যেই গণভোট আয়োজনসহ ৫ দাবি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের
দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, “যেকোনো উসকানিতে সংযম ও ধৈর্য ধারণ করতে হবে। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি ও আইনত আন্দোলনের পথেই আমাদের এগোতে হবে।”
ডেস্ক/ই.ই
মন্তব্য করুন: