[email protected] ঢাকা | শুক্রবার, ২৪শে অক্টোবর ২০২৫, ৯ই কার্তিক ১৪৩২
thecitybank.com

জুলাই সনদ বাস্তবায়নে আইনি ভিত্তি ও সঠিক ক্লিয়ারেন্স পাইনি: সারজিস

চাঁপাই জার্নাল ডেস্ক:

প্রকাশিত:
২০ অক্টোবার ২০২৫, ১৮:৩৭

ছবি: সংগ্রহীত
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, এনসিপি তাদের জায়গা থেকে আগামীর বাংলাদেশে জনগণের স্বার্থকে সবার আগে প্রাধান্য দিয়ে রাজনীতি করবে। এনসিপি বিশ্বাস করে জনগণের স্বার্থ মানেই দেশের স্বার্থ। জুলাই সনদে যার প্রতিফলন জনগণ দেখেছে। আমার যখন দেখেছি এই জুলাই সনদে জনগণের যে আকাঙ্খাগুলো বাস্তবায়ন হওয়ার প্রয়োজন ছিল, সেই সনদে বাস্তবায়নের আইনি ভিত্তি দেখি না। কীভাবে হবে যখন আমরা কোনো সঠিক ক্লিয়ারেন্স পাই না। তখন আমরা আমাদের জায়গা থেকে শুধুমাত্র দায়সারা সনদে স্বাক্ষর করিনি।
 
দলীয় কর্মসূচি শেষে সোমবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে জয়পুরহাট শহরের মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স মিলনায়তনে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
 
তিনি বলেন, আমরা দলীয়ভাবে কিছু চাইনি। আমরা জুলাই সনদ বাস্তবায়নে রোডম্যাপ চাই, নিশ্চয়তা চাই। সেটা যখন আমরা দেখিনি। আমরা শুধুমাত্র নির্বাচনে যাব, কয়েকটা আসন পাব, সেটাকে সামনে রেখে আমরা জুলাই সনদে স্বাক্ষর করতে পারি না। কারণ এটা জনগণের আকাঙ্ক্ষার বিপরীত। আমরা আমাদের জায়গা থেকে কিন্তু দলীয়ভাবে কিছু চাইনি। যেই বিষয়গুলোতে তারাই ঐকমত্য হয়েছে, যে বিষয়গুলো তারাই জুলাই সনদে রেখেছে, সেই বিষয়গুলোরই বাস্তবায়নে রোডম্যাপটা চাই, নিশ্চয়তা চাই। সেটা যখন আমরা দেখিনি তখন আমরা শুধু নির্বাচনে যাব, কয়েকটা আসন পাব, এটাকে সামনে রেখে ওই সনদে আমরা স্বাক্ষর করতে পারি না। কারণ এটা জনগণের আকাঙ্ক্ষার বিপরীত। সেই জায়গা থেকে আগামীর বাংলাদেশে যে রাজনৈতিক দল তাদের জায়গা থেকে যদি আমরা মনে করি তারা এই জুলাই সনদের প্রত্যেকটা ঐকমত্য বিষয়ের প্রতি কমিটেড। বাস্তবায়নে তারা কমিডেট। তারা এই ফ্যাসিস্ট যারা ছিল, এই কাঠামোয় যারা গুম, খুন ও বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত, তাদের বিচার নিশ্চিত করতে যারা তাদের জায়গা থেকে কমিটেড। যারা বাংলাদেশ পন্থায় রাজনীতি করবে, সব ধরনের অপকর্মের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর মতো গার্ডস দেখাবে। এই সামগ্রিক বিষয়গুলোতে যাদের কমিটমেন্ট থাকবে। এনসিপি যদি মনে করে তারা এই কমিটমেন্ট রাখার মতো দিয়েছে, তাদের সঙ্গে নির্বাচনি জোট হতে পারে। তবে এখন পর্যন্ত এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
 
শাপলা প্রতীক বিষয়ে তিনি বলেন, অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে একটি স্বাধীন সার্বভৌম প্রতিষ্ঠান থেকে একটা যৌক্তিক অধিকার বা দাবি পেতে এই ধরনের লড়াই করতে হাবে এত কিছুর বিরুদ্ধে, এটা খুবই অপ্রত্যাশিত। যখন আইনগতভাবে শাপলা পেতে এনসিপির কোনো বাধা নেই, তখন নির্বাচন কমিশন যদি কোনো বাধায় তারা ভীত হয়ে বা কোনো কিছুর পিছুটানে আমাদের সঙ্গে স্বেচ্ছাচারিতা করে। আমরা মনে করি নির্বাচন কমিশন আগামীর বাংলাদেশে একটা নির্বাচন করার তার যে প্রাতিষ্ঠানিক গ্রহণযোগ্যতা সেটা হারিয়ে ফেলে। সেই জায়গা থেকে আমাদের স্পষ্ট অবস্থান যেহেতু আইনগত বাধা নেই, এই নির্বাচন কমিশন এনসিপির সঙ্গে এই স্বেচ্ছাচারিতা করতে পারে না। আমাদেরকে তার হয় শাপলা দিতে হবে, না হয় কেন শাপলা দিবে না, তার আইনগত ব্যাখ্যা দিতে হবে। প্রয়োজনে আমরা আইনিভাবে ও রাজনৈতিকভাবে রাজপথে লড়াই করব।
 
এর আগে সকাল দশটায় তিনি জাতীয় নাগরিক পার্টির জয়পুরহাট জেলা ও উপজেলা কমিটির নেতাদের সঙ্গে সমন্বয় সভা করেন। এসময় রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান ইমন ও বগুড়া অঞ্চলের যুগ্ম মুখ্য সংগঠক সাকিব মাহদীসহ দলটির জেলা ও উপজেলা কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
 
ডেস্ক/ই.ই

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর