প্রতীক বাছাইয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) চাপিয়ে দেওয়া সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা। আজ রবিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে এনসিপির প্রতিনিধিদল এ কথা জানায়।
এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, আমরা দেখছি, নির্বাচন কমিশন স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। আমাদের কাছে মনে হয়েছে, এই সিদ্ধান্তগুলো আসলে চাপিয়ে দেওয়া। ইসিতে প্রাতিষ্ঠানিক অটোক্রেসি (স্বৈরতন্ত্র) তৈরি হয়েছে। তাদের মনোভাব দেখে তা-ই মনে হচ্ছে। বিদ্যমান দলগুলোকে যে মার্কা দেওয়া হয়েছে, কোনো নীতিমালার আওতায় তা করা হয় নাই। মধ্যযুগে বর্বর শাসনব্যবস্থা যেমন দেখতাম, রাজা যেমন ইচ্ছা করছে। রাজা-বাদশাদের আচরণের সঙ্গে তাদের (ইসি) সাদৃশ্য রয়েছে। নির্বাচন কমিশনের রিমোট কন্ট্রোলটা অন্য জায়গায়, আগারগাঁওয়ে নেই। ইসি স্পাইনলেস (মেরুদণ্ডহীন)।
এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী জানান, দলের পক্ষ থেকে ইসির চিঠির জবাব দিয়ে চারটি বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। দেড় কোটি মৃত ও প্রবাসী ভোটার তালিকায় রয়েছে। এটা ইসিকে সংশোধন করতে বলা হয়েছে। দলীয় ও দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তাদের সরাতে বলা হয়েছে। মোট চারটি বিষয় সমাধান করতে হবে। সমাধান করতে না পারলে ইসির পদত্যাগ করতে হবে। বিভিন্ন জায়গায় অগ্নিকাণ্ডে জাতীয় নিরাপত্তার ঝুঁকি নিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না।
প্রতীকের বিষয়ে এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ বলেন, আমাদের জন্য ৫০টি প্রতীক রয়েছে। এর মধ্যে আছে খাট, বেগুন। আমরা স্পষ্ট প্রশ্ন করেছি, কোন নীতিমালার ভিত্তিতে এই তালিকা করা হয়েছে।
এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব জহিরুল ইসলাম মূসা বলেন, ইসি আইনগতভাবে যেকোনো প্রতীক বরাদ্দ দিতে পারে না। এটা আমরা ইসিকে জানিয়েছি।
ডেস্ক/ই.ই
মন্তব্য করুন: