প্রকাশিত:
১৯ অক্টোবার ২০২৫, ১৭:০১
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, ‘মধ্যযুগী বর্বর শাসন ব্যবস্থায় যেমন দেখতাম রাজাদের যেমন ইচ্ছা করছে তাই করছে। রাজা বাদশাদের আচরণের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সাদৃশ্য রয়েছে। কোনো ব্যক্তির ইচ্ছা নয়, নীতির মাধ্যমে চলতে হবে ইসিকে।’
আজ রবিবার (১৯ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন হাসনাত।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘আমাদের মার্কার বিষয়ে কথা বলতে এসেছি। ইসির মনোভাব দেখে মনে হচ্ছে প্রাতিষ্ঠানিক অটোক্রেসি তৈরি হয়েছে। বিদ্যমান দলগুলোকে যে মার্ক দেওয়া হয়েছে তার কোনো নীতিমালা নেই।’
তিনি আরো বলেন, ‘মার্কার ক্ষেত্রে সাংস্কৃতিক ও সমাজিক প্রেক্ষাপটে বিবেচনা করতে হবে।
এ নিয়ে যেন গণবিচ্ছিন্নতা তৈরি না হয় সেটা দেখতে হবে। আইনগত ব্যাখ্যা যতক্ষণ না হচ্ছে আমরা ধরে নেব সিদ্ধান্তগুলো চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ইসির রিমোট আগারগাঁওয়ে নাই। অন্য জায়গায়।
তাদের আচরণে মনে হয় না সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব হবে।’
নির্বাচন কমিশনার রহমানেল মাছউদ বলেছেন, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হলে আওয়ামী লীগে অংশগ্রহণ প্রয়োজন উল্লেখ করে হাসনাত বলেন, ‘এই ধরনের রাজনৈতিক বক্তব্যও দেওয়া হচ্ছে। মার্কা নিয়ে যে স্বেচ্ছাচারী আচরণ একটা অটোক্রেসি তৈরি করেছে, সেই ব্যাখ্যা তারা দেবেন না। অথচ ইসি একটি জনগণের প্রতিষ্ঠান।’
হাসনাত ইসিকে মেরুদণ্ডহীন কমিশন আখ্যা দিয়ে অভিযোগ করে বলেন, ‘এই ইসির একটা স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ নির্বাচন করার যোগ্যতা নেই।
বিভিন্ন পক্ষের যোগসাজশ রয়েছে। যারা নিয়োগ দিয়েছে তাদের পারপাস ইসির ব্যানারে সার্ভ করছে। গণবিদ্বেষ চাপিয়ে রাখা যায় না। যে গণবিদ্বেষ হবে তাতে নূরুল হুদার পরিণতি হবে তা আমরা চাই না।’
তিনি আরো বলেন, ‘শাপলা ছাড়া বিকল্প কোনো অপশন নেই। কারণ ইসি আইনগত ব্যাখ্যা দিতে পারেনি। আমরা কেন মেনে নেব। কেবল একরকমভাবে একটা ব্যাখ্যা দাঁড় করিয়েছে। কোনো বিকল্পের অবকাশ নেই। আমরা শঙ্কা প্রকাশ করছি, যাদের মার্কা রয়েছে এমন অনেক দল ক্রিয়াশীল, আগ্রহী রয়েছে।’
ডেস্ক/ই.ই
মন্তব্য করুন: