প্রকাশিত:
১৮ অক্টোবার ২০২৫, ১৯:১৭
যুবক শ্রেণিকে জনসম্পদে রূপান্তর করতে বিএনপি সব ধরনের পদক্ষেপ নেবে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুল মঈন খান। শনিবার (১৮ অক্টোবর) বাংলাদেশ এগ্রিকালচারাল রিসার্চ কাউন্সিল (বিএআরসি) মিলনায়তনে আয়োজিত এক সেমিনারে বক্তব্যকালে এমনটা জানান তিনি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, দেশের উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় জনগণকে সম্পৃক্ত করতে না পারলে কোনো পরিকল্পনাই সফল হবে না। তাই শিক্ষিত জনগোষ্ঠীকে উৎপাদনমুখী কর্মসংস্থানে বাস্তব পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।
তিনি বলেন, এক কোটি তরুণকে কারিগরি ও ভোকেশনাল শিক্ষা দিয়ে কর্মে নিয়োজিত করতে বিএনপি কর্মপরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের জনসংখ্যার ৫২ শতাংশ যুবক এবং যুবক শ্রেণিতে বাংলাদেশ বিশ্বে সর্বোচ্চ সুবিধাজনক অবস্থায় আছে। সেই যুবক শ্রেণিকে জনসম্পদে রূপান্তর করতে বিএনপি সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ঘোষিত যুবকের হাতকে কর্মীর হাতে রূপান্তরের প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
এডুকেশন রিফর্ম ইনিশিয়েটিভের (ইআরআই) উদ্যোগে এদিন বিএআরসি মিলনায়তনে ‘সোসিও ইকোনোমিক ডেভেলপমেন্ট ইন বাংলাদেশ থ্রো টিভ্যাট: প্রবলেমস অ্যান্ড প্রসপেক্টস’ শীর্ষক ওই সেমিনারের আয়োজন করা হয়। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইআরআই’র সভাপতি ও সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. আ ন ম এহছানুল হক মিলন।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধে বলা হয়, দেশের ২০ শতাংশ যুবক স্নাতক সম্পন্ন করলেও কর্মসংস্থান করতে পেরেছে ১৬ দশমিক ৮ শতাংশ যুবক। এটা হতাশাজনক। ইউজিসির ২০২৪ সালের জরিপে উঠে এসেছে, প্রতিবছর ১০ লাখ যুবক জব মার্কেটে প্রবেশ করলেও অর্ধেকেরও কম কর্মসংস্থান করতে পারে। এছাড়াও বিএমইটির ২০২৪ সালের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, প্রতিবছর ১০ লাখ যুবক বিদেশে চাকরির জন্য গেলেও তাদের অধিকাংশই অদক্ষ। ফলে তারা বেতন কম পায় ও নিম্নমানের কাজে নিয়োজিত হয়। সুতরাং প্রশিক্ষিত জনগণ ব্যতীত দেশের সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব নয়।
এদিন সেমিনারে অন্যদের মধ্যে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুটেক্স) উপাচার্য ডক্টর জুলহাস উদ্দিন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ডা. এস এম জিয়াউদ্দিন হায়দার, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. রুহুল আমিন, বিএনপির কুমিল্লা অঞ্চলের সাংগঠনিক সম্পাদক ও শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভুঁইয়া, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইসলামিক থট- এর মহাপরিচালক ড. মুহাম্মদ আবদুল আজীজ।
ডেস্ক/ই.ই
মন্তব্য করুন: