প্রকাশিত:
১৫ অক্টোবার ২০২৫, ২০:৪৩
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেছেন, আমরা জুলাই সনদের যে খসড়া আমাদের কাছে পেয়েছি, সেই খসড়ায় নোট অব ডিসেন্টের বিষয়গুলোকে পরিষ্কার করা হয়নি। নোট অব ডিসেন্ট বিষয়গুলোর একটা সংজ্ঞায়ন প্রয়োজন। কীভাবে সেগুলোকে বাস্তবায়ন করা হবে সে পথরেখা পরিষ্কার হওয়া প্রয়োজন।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) রাতে ফরেন সার্ভিস একাডেমির মিলনায়তনে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের জরুরি বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস উপস্থিত ছিলেন।
আখতার হোসেন বলেন, আমরা যে অঙ্গীকারনামাটি পেয়েছি, সেই অঙ্গীকারনামায় আমরা দীর্ঘসময় ধরে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আলোচনা করেছি। সেই বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া এখানে সুস্পষ্টভাবে বিস্তৃত হয়নি। আমরা একটি আদেশের মধ্য দিয়ে বাস্তবায়নের কথা বলেছি। সাংবিধানিক আদেশ নামকরণ হলে সেক্ষেত্রে অনেক আপত্তির জায়গা ছিল। আমরা জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপির তরফ থেকে সেটাকে জুলাই বাস্তবায়নের আদেশ বা সাংবিধানিক সংস্কার আদেশ যেকোনো নামেই হোক সেটাকে আমরা বাস্তবায়নের কথা বলেছি।
তিনি আরও বলেন, আমরা মনে করি এই আদেশ প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরকারের প্রধান হিসেবে জারি করবেন। সেটা জনগণ অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যে অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছে, সেই অভিপ্রায়কে সুসংহত করতে হেড অব গভর্নমেন্ট হিসেবে প্রধান উপদেষ্টা সেটাকে বাস্তবায়ন করবেন, আদেশ জারি করবেন। এই আশাবাদ আমরা ব্যক্ত করছি।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব বলেন, যে গণভোট অনুষ্ঠিত হবে আমরা রাজনৈতিক দলগুলো একমত হয়েছি। সেই গণভোট কীভাবে হবে সেটা আমাদের কাছে এখনো পর্যন্ত পরিষ্কার নয়। গণভোটের বিষয়ে যে প্রশ্ন, দিনক্ষণ, সে বিষয়গুলো আমাদের কাছে পরিষ্কার হওয়া প্রয়োজন। জাতির কাছে পরিষ্কার হওয়া প্রয়োজন। একইসঙ্গে আমরা সংবিধানের এতগুলো মৌলিক বিষয় পরিবর্তনের কথা বলেছি, সেটাকে শুধু সংশোধনের মধ্য দিয়ে যে টেকসই করা সম্ভব নয়, সে ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলো একমত। সেই মৌলিক সাংবিধানিক সংস্কারগুলোকে সাংবিধানিক টেকসই করার জন্যই সামনের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা ক্ষমতার অধিকারী হবেন। পার্লামেন্ট মেম্বারদের কনস্টিটিউট পাওয়ার ডেলিগেট করা হবে, সেই বিষয়টা আমাদের কাছে পরিষ্কার হওয়া প্রয়োজন। সামনের সাংবিধানিক যে বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করা হবে সেটা কোনো সংশোধনের নাম নয়, সেটাকে সংস্কার করার কথা জুলাই ঘোষণাপত্রে বলা হয়েছে। সে বিষয়টার আমরা বাস্তবায়ন দেখতে চাই।
তিনি বলেন, আমরা চাই জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পথটাকে পরিষ্কার করে তারপর আমরা সনদ স্বাক্ষর করার দিকে অগ্রসর হবো। জাতির কাছে সবগুলো বিষয়কে পরিষ্কার করে তারপর জুলাই সনদ স্বাক্ষরিত হলে, তবেই সেটা বাংলাদেশে কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব এবং জাতির প্রত্যাশা পূরণ করা সম্ভব।
ডেস্ক/ই.ই
মন্তব্য করুন: