প্রকাশিত:
৯ অক্টোবার ২০২৫, ১৫:৫২
সাংবিধানিক সংকটের রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করবে উচ্চকক্ষ বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে উচ্চক্ষের একটা উপযোগিতা তৈরি হয়েছে। কারণ অতীতে সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ দল নিজেদের মতো করে সংবিধান পরিবর্তন করেছে। এর মাধ্যমে প্রধান বিচারপতিদের বয়সসীমা বৃদ্ধির আইন সংশোধন করা হয়েছে। যার ফলে এক এগারোর মতো পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে 'প্রস্তাবিত উচ্চকক্ষ কি জাতীয় সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে পারবে' এই শিরোনামে এক জাতীয় সংলাপে এসব কথা বলেন তিনি। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পৃষ্ঠপোষকতায় এই সংলাপের আয়োজন করেছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি)।
জাতীয় এই সংলাপে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলন না থাকার ব্যাপারে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে আয়োজকদের পক্ষ থেকে বলা হয়, আমাদের সংলাপ আরও কয়েকটা ধাপে হবে৷ এই ধাপে শুধু উপস্থিত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল৷ আগামীতে অন্য সবদল সহ তাদেরও আমন্ত্রণ জানানো হবে।
আখতার হোসেন বলেন, অনেক রাজনৈতিক দলের মতামত নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইন করা হয়। কিন্তু পরবর্তীতে সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ দল এসে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনের মাধ্যমে সেটি বাতিল করে। এরপর স্বৈরতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করা হয় শুধু সংবিধানের মাধ্যমে।
তিনি আরও বলেন, পিআর পদ্ধতিতে উচ্চকক্ষ না হলে এটির আর কোনো উপযোগিতা থাকে না। কারণ কোনো একক দল নিম্নকক্ষে ৫০ শতাংশের বেশি আসন পায় না। ফলে উচ্চকক্ষে যেন কোনো ধরনের সিদ্ধান্তের জন্য ওই দলের অন্য রাজনৈতিক দলের ওপর নির্ভরশীল হতে হবে।
আখতার বলেন, উচ্চকক্ষ চূড়ান্তভাবে কোনো আইন আটকে রাখতে পারবে না। কিন্তু যে কোনো সিদ্ধান্তের ব্যাপারে আলোচনার করার যে পরিসর তৈরি করবে সেটা খুব কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে৷ আগের বিভিন্ন সময় সংশোধনীর মাধ্যমে যে সাংবিধানিক সংকটের তৈরি হয়েছে সেটির রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করবে উচ্চকক্ষ।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ বলেন, বিএনপি পিআর পদ্ধতিতে সম্মত নয়। তবে উচ্চকক্ষে শিক্ষাবিদ, সিভিল সোসাইটিসহ বিভিন্ন সেক্টরের বিশেষজ্ঞ মানুষ থাকার ব্যাপারে সম্মত। কিন্তু উচ্চকক্ষে কীভাবে প্রতিনিধি নির্বাচন করা হবে সেটির স্পষ্ট নীতিমালা থাকতে হবে। কারণ তদবিরের মাধ্যমে উচ্চকক্ষের কেউ প্রতিনিধি হলে কার্যকর কিছু হবে না। দেশের স্বার্থে কাজ করবে এমন প্রতিনিধি প্রয়োজন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত প্রধান এইচ ই মাইকেল মিলার নির্বাচনকে নিজেদের দেশের বিষয় বলে জানিয়েছেন। এ ছাড়া তিনি বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচন নিজেদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এখানে আমাদের কিছু নেই। তবে একটি ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার নির্বাচন আমরা চাই। বাংলাদেশের সংসদ আরও জবাবদিহিমূলক হওয়ার ব্যাপারে আশা ব্যক্ত করেন তিনি।
সিপিডি ফেলো অধ্যাপক রওনক জাহানের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন গণসংহতি আন্দোলনের রুবেল, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, কমিউনিস্ট পার্টি অব বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সদস্য রুহিন হোসাইন প্রমুখ। এনসিপি সদস্য সচিব আখতার হোসেন। ছবি: সংগৃহীত
সাংবিধানিক সংকটের রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করবে উচ্চকক্ষ বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে উচ্চক্ষের একটা উপযোগিতা তৈরি হয়েছে। কারণ অতীতে সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ দল নিজেদের মতো করে সংবিধান পরিবর্তন করেছে। এর মাধ্যমে প্রধান বিচারপতিদের বয়সসীমা বৃদ্ধির আইন সংশোধন করা হয়েছে। যার ফলে এক এগারোর মতো পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে 'প্রস্তাবিত উচ্চকক্ষ কি জাতীয় সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে পারবে' এই শিরোনামে এক জাতীয় সংলাপে এসব কথা বলেন তিনি। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পৃষ্ঠপোষকতায় এই সংলাপের আয়োজন করেছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি)।
জাতীয় এই সংলাপে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলন না থাকার ব্যাপারে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে আয়োজকদের পক্ষ থেকে বলা হয়, আমাদের সংলাপ আরও কয়েকটা ধাপে হবে৷ এই ধাপে শুধু উপস্থিত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল৷ আগামীতে অন্য সবদল সহ তাদেরও আমন্ত্রণ জানানো হবে।
আখতার হোসেন বলেন, অনেক রাজনৈতিক দলের মতামত নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইন করা হয়। কিন্তু পরবর্তীতে সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ দল এসে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনের মাধ্যমে সেটি বাতিল করে। এরপর স্বৈরতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করা হয় শুধু সংবিধানের মাধ্যমে।
তিনি আরও বলেন, পিআর পদ্ধতিতে উচ্চকক্ষ না হলে এটির আর কোনো উপযোগিতা থাকে না। কারণ কোনো একক দল নিম্নকক্ষে ৫০ শতাংশের বেশি আসন পায় না। ফলে উচ্চকক্ষে যেন কোনো ধরনের সিদ্ধান্তের জন্য ওই দলের অন্য রাজনৈতিক দলের ওপর নির্ভরশীল হতে হবে।
আখতার বলেন, উচ্চকক্ষ চূড়ান্তভাবে কোনো আইন আটকে রাখতে পারবে না। কিন্তু যে কোনো সিদ্ধান্তের ব্যাপারে আলোচনার করার যে পরিসর তৈরি করবে সেটা খুব কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে৷ আগের বিভিন্ন সময় সংশোধনীর মাধ্যমে যে সাংবিধানিক সংকটের তৈরি হয়েছে সেটির রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করবে উচ্চকক্ষ।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ বলেন, বিএনপি পিআর পদ্ধতিতে সম্মত নয়। তবে উচ্চকক্ষে শিক্ষাবিদ, সিভিল সোসাইটিসহ বিভিন্ন সেক্টরের বিশেষজ্ঞ মানুষ থাকার ব্যাপারে সম্মত। কিন্তু উচ্চকক্ষে কীভাবে প্রতিনিধি নির্বাচন করা হবে সেটির স্পষ্ট নীতিমালা থাকতে হবে। কারণ তদবিরের মাধ্যমে উচ্চকক্ষের কেউ প্রতিনিধি হলে কার্যকর কিছু হবে না। দেশের স্বার্থে কাজ করবে এমন প্রতিনিধি প্রয়োজন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত প্রধান এইচ ই মাইকেল মিলার নির্বাচনকে নিজেদের দেশের বিষয় বলে জানিয়েছেন। এ ছাড়া তিনি বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচন নিজেদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এখানে আমাদের কিছু নেই। তবে একটি ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার নির্বাচন আমরা চাই। বাংলাদেশের সংসদ আরও জবাবদিহিমূলক হওয়ার ব্যাপারে আশা ব্যক্ত করেন তিনি।
সিপিডি ফেলো অধ্যাপক রওনক জাহানের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন গণসংহতি আন্দোলনের রুবেল, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, কমিউনিস্ট পার্টি অব বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সদস্য রুহিন হোসাইন প্রমুখ।
ডেস্ক/ই.ই
মন্তব্য করুন: