নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আগামী নির্বাচনে যাকে মনোনয়ন দেয়া হবে তার পেছনে কাজ করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) সকালে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বাংলাদেশে নবনিযুক্ত জার্মানির রাষ্ট্রদূত ড. রুডিগার লোটজের সঙ্গে বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে এই কথা বলেন তিনি।
খসরু বলেন, ‘বিএনপি সময়মতো মনোনয়ন দেবে। কোন দল কী করবে তাদের সিদ্ধান্ত। বিএনপিও ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নিবে। বিএনপি বড়দল, একাধিক প্রার্থী থাকবে আবার প্রতিযোগিতাও থাকবে। যাকে মনোনয়ন দেয়া হবে তার পেছনে কাজ করতে হবে।’
তিনি আরও বরেন, ‘নির্বাচনের প্রার্থী সবাই দিতে পারে, সবার অধিকার রয়েছে। আলোচনার মধ্য দিয়ে একা দিতে পারে অথবা জোটগতভাবেও প্রার্থী দিতে পারে যেকোনো দল। বাধাবিপত্তির রাজনীতি থেকে বেরিয়ে এসে সবাইকে স্বাধীনতা দিতে হবে।’
জার্মান রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আগামীদিনের সম্পর্ক, ব্যবসা বাণিজ্য, সংস্কৃতি ও বিনিয়োগ নিয়ে কথা হয়েছে। বিএনপির প্রগ্রোাম রয়েছে ১ কোটি চাকরি দিতে হবে। সেখানে স্কিল্ড মানুষ প্রয়োজন। যে কারণে প্রযুক্তিসহ নানা দিকে ভাবছে বিএনপি। এআই নিয়েও আলোচনা হয়েছে, তারাও আগ্রহী।’
‘বর্তমানে জার্মান বিনিয়োগ যা আছে তা আরো কত বাড়ানো যায় সেটা প্রত্যাশা করে বিএনপি। তারাও আগ্রহী। বিনিয়োগের জন্য যে সমস্যাগুলো ছিল, সেগুলো কাটিয়ে উঠতে কিছু পরিস্কার উদ্যোগ নিয়েছে বিএনপি। বিভিন্ন দেশে যা ইতোমধ্যে পৌঁছে দেয়া হয়েছে,’ যোগ করেন আমীর খসরু।
তিনি আরও বলেন, ‘সবাই নির্বাচনের অপেক্ষায় রয়েছে, যত আলোচনা হচ্ছে সবখানেই নির্বাচন প্রসঙ্গ আসছে। যত দ্রুত নির্বাচিত সরকার আসবে যেখানে তারা স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘতম বিনিয়োগের চিন্তা করতে পারে। সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার আসবে যারা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে, সেটা সবাই চাচ্ছে।’
আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গে রাষ্ট্রদূতদের বৈঠকের বিষয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘এ বিষয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে কমেন্ট নাই। রাজনীতি সহজ নাকি? কারো বাসায় একটা কূটনীতিক মিটিং হলে কিছু হয়ে যায় নাকি? এগুলো গুরুত্ব দেয় না বিএনপি। জনগণ কি চায় সেটা গুরুত্বপূর্ণ বিএনপির কাছে।’
জুলাইসনদ বাস্তবায়নের ঐকমত্য প্রসঙ্গে আমীর খসরু বলেন, ‘যে জায়গাগুলোতে একমত হয়েছে সে বিষয়গুলো নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। যেগুলো হবে না আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের কাছে নিয়ে যেতে হবে। সব সমস্যার সমাধান রাজনৈতিক দল করে ফেলবে সে দায়িত্ব দেশের জনগণ আমাদের দেয় নাই। ম্যান্ডেট নিয়ে জনগণের কাছ থেকে যা চান তা নিয়ে আসেন।’
যতটুকু ঐকমত্য হবে তার বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যতটুকু ঐকমত্য হবে তার মধ্যেই কাজ করতে হবে। বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। বিএনপিরও অনেক ইস্যু আছে যা ঐকমত্য হয় নাই, বিএনপির সমস্যা নাই তাতে, মেনে নিয়েছে। অন্য দলের যা একমত হয়নি তা আগামী নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে সংসদে আসতে হবে। তার বাইরে কোনো কিছু করার দলের অধিকার নেই, আবার তাদের মতামত কারো উপরে চাপিয়ে দেয়ার অধিকারও কোনো দলের নেই।’
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনীতিরে প্রসঙ্গে এই নেতা বলেন, ‘বেগম জিয়া রাজনীতি থেকে চলে যাননি। তিনি এখনো বিএনপির চেয়ারপারসন। তিনি অসুস্থ, তার অবর্তমানে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দাযিত্ব পালনের মধ্য দিয়ে বিএনপি এগিয়ে যাচ্ছে। কার ভূমিকা কী হবে তা সময় বলে দিবে।’
ডেস্ক/ই.ই
মন্তব্য করুন: