[email protected] ঢাকা | বুধবার, ২৯শে অক্টোবর ২০২৫, ১৩ই কার্তিক ১৪৩২
thecitybank.com

চাইনিজ পিপলস ইনস্টিটিউটের প্রতিনিধির সঙ্গে জামায়াত আমিরের বৈঠক

chapaijournaldesk

প্রকাশিত:
২৫ সেপ্টেম্বার ২০২৫, ১৯:৪৫

ছবি: সংগ্রহীত
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন চাইনিজ পিপলস ইনস্টিটিউট অব ফরেন অ্যাফেয়ার্সের (সিপিআইএফএ) ভাইস প্রেসিডেন্ট রাষ্ট্রদূত মি. ঝৌ পিংজিয়ান।
 
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ বৈঠক সম্পন্ন হয়।
 
মি. ঝৌ পিংজিয়ানের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দলে ছিলেন– এশিয়া, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকা বিষয়ক বিভাগের পরিচালক (সিপিআইএফএ) মি. ঝাও ইয়োংগুও, সাউথ এশিয়ান স্টাডিজ সেন্টারের (পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়) নির্বাহী উপপরিচালক ড. ওয়াং শু, এশিয়া, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকা বিষয়ক বিভাগের কর্মকর্তা (সিপিআইএফএ) মিস. ঝাং লি, চীনা দূতাবাসের পলিটিক্যাল ডাইরেক্টর মি. ঝাং জিং এবং দূতাবাসের অ্যাটাচে মিস লিউ হোংরু।
 
জামায়াত আমিরের সঙ্গে ছিলেন– কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এটিএম আজহারুল ইসলাম, সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল, কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য, কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য।মোবারক হোসাইন এবং আমীরে জামায়াতের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মাহমুদুল হাসান। 
 
বৈঠক শেষে এক প্রেস ব্রিফিং এ অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ৭৫-এর পর বাংলাদেশের সঙ্গে চায়নার কূটনৈতিক ও বন্ধুত্বসুলভ সম্পর্কের কথা স্মরণ করা হয়েছে। জামায়াত আমির চায়নার নেতাদের বলেছেন, ‘চীন ও বাংলাদেশ পরস্পর উন্নয়ন সহযোগী। আমরা একত্রে উভয় দেশের কী কী উন্নয়ন করতে পারি এবং বন্ধুত্বের চেয়ে প্রতিবেশীর ঘনিষ্ট ব্রাদারলি রিলেশনকে আমরা গুরুত্বপূর্ণ মনে করি। অর্থনীতিসহ সামগ্রিক বিষয়ে আমরা (বাংলাদেশ) নিজেদের পায়ে দাঁড়াবার চেষ্টা করছি।’ 
 
তিনি বলেন, পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে জামায়াতের ইসলামীর ওপর অকথ্য জুলুম-অত্যাচার চালানো হয়েছে। আমাদের নেতাদের কারাগারে হত্যা করা হয়েছে। আমাদের নিবন্ধন কেড়ে নেওয়া হয়েছে। অফিসগুলো বন্ধ করে রাখা হয়েছিলো। আমাদের কষ্টের এই স্মৃতিগুলো আমীরে জামায়াত চায়নার নেতাদের কাছে তুলে ধরেছেন। 
 
তিনি আরও বলেন, ছাত্রজনতার উত্তাল আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সরকার বিদায় নিয়েছেন। কিন্তু বিদায় নেয়ার পরও ষড়যন্ত্র থেকে তারা থেমে থাকেনি। একটি দেশের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। বর্তমান গ্লোবাল পরিস্থিতি ও পলিটিকস, গ্লোবাল সিকিউরিটিসহ নানা বিষয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কীভাবে ভবিষ্যতে একটি নতুন বাংলাদেশ গড়তে পারি এবং দু’দেশের মধ্যে সেই সৌহার্দ্যপূর্ণ, সম্প্রীতিপূর্ণ আলোচনা কীভাবে এগিয়ে নিতে পারি, তা জামায়াত আমির চায়না প্রতিনিধিদলের সামনে তুলে ধরেছেন। বাংলাদেশের অর্থনীতি এবং ব্যাংকিং ব্যবস্থা একেবারে লুট হয়ে গেছে। দুর্নীতি, অর্থ পাচারে আমাদের অর্থনীতি একেবারে শেষ হয়ে গেছে সেটা আমীরে জামায়াত মেহমানদের সামনে তুলে ধরেছেন। 
 
অধ্যাপক পরওয়ার বলেন, আঞ্চলিক ও বিশ্ব পরিবেশের বিবেচনায় বাংলাদেশ-চায়না যৌথভাবে ভবিষ্যতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি রাখবে এবং বাংলাদেশের সঙ্গে শুধু কৌশলগত প্রয়োজন অনুভব করেন (পার্টি টু পার্টি)। জামায়াতে ইসলামী ও কমিউনিস্ট পার্টির মধ্যে সুসম্পর্ক, মতবিনিময় এবং স্ট্র্যাটিজিক্যাল ডায়ালগ উনারা অনুভব করেন। জামায়াত আমির ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, সরকারের সঙ্গে সরকার (জি টু জি), পার্টি টু পার্টি উভয় রিলেশন মেইনটেন হবে চায়নার।
 
ডেস্ক/ই.ই

 


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর