[email protected] ঢাকা | বুধবার, ১৭ই ডিসেম্বর ২০২৫, ৩রা পৌষ ১৪৩২
thecitybank.com

‘বিএনপির উদার দৃষ্টিভঙ্গি স্থিতিশীল বাংলাদেশ অর্জনে সহায়ক হবে’

chapaijournaldesk

প্রকাশিত:
২২ সেপ্টেম্বার ২০২৫, ১৫:৪৮

ছবি: সংগ্রহীত
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, বিএনপির উদার ও গণতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি বাংলাদেশের জন্য শান্তিপূর্ণ এবং স্থিতিশীল সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিবেশ তৈরিতে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে। 
 
তিনি মনে করেন, একটি অংশগ্রহণমূলক ও সহনশীল রাজনৈতিক সংস্কৃতি গড়ে তুললে দেশব্যাপী স্থিতিশীলতা ও আস্থা প্রতিষ্ঠিত হবে, যা ভবিষ্যতে বিনিয়োগ ও প্রবৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি হয়ে উঠতে পারে।
 
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) গুলশানে নিজের বাসভবনে ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত ক্রিস্টিয়ান ব্রিক্স মোলারের সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এসব কথা বলেন। বৈঠকে বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আগামী জাতীয় নির্বাচন, রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণ এবং সম্ভাব্য সংস্কার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
 
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, এ বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে সম্ভাব্য অর্থনৈতিক সহযোগিতা, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং টেকসই শক্তি খাতে বিনিয়োগের বিষয়েও আলোচনা হয়। রাষ্ট্রদূত মোলার জানান, ডেনমার্ক চট্টগ্রাম বন্দর এবং কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পর্যন্ত উপকূলীয় অঞ্চলে অবকাঠামো উন্নয়ন ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে প্রায় দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগে আগ্রহী। এতে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা আরও প্রসারিত হতে পারে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
 
ড. মঈন খান বৈঠকে দীর্ঘদিন ধরে প্রস্তাবিত সমুদ্র থেকে ভূমি পুনরুদ্ধারের বিষয়টি তুলে ধরেন এবং এই খাতে ডেনিশ বিশেষজ্ঞতার ব্যবহার নিয়ে রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদি ভূখণ্ড পরিকল্পনায় উন্নত প্রযুক্তি ও আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্বের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন।
 
বৈঠকে সংসদীয় কাঠামো নিয়ে আলোচনা প্রসঙ্গে ড. মঈন খান উচ্চকক্ষ প্রবর্তন এবং অনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পিআর পদ্ধতির বিষয়েও আলোকপাত করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক বাস্তবতা ও ইউরোপীয় মডেলের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে, তবে এসব ব্যবস্থা নিয়ে খোলামেলা ও গঠনমূলক আলোচনা করা দরকার। তিনি এ দুটো ব্যবস্থার সম্ভাব্য সুবিধা ও সীমাবদ্ধতা ব্যাখ্যা করেন এবং ভবিষ্যতে দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও প্রতিনিধিত্বের ভারসাম্য রক্ষায় এ ধরনের সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
 
বৈঠকের শেষভাগে উভয় পক্ষই আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশে যদি একটি স্থিতিশীল ও গণতান্ত্রিক কাঠামো গড়ে ওঠে, তবে দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক সহযোগিতা আরও গভীর হবে। তারা বিশ্বাস করেন, জনগণের স্বার্থে আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্ব ও আস্থা তৈরিতে একটি অংশগ্রহণমূলক রাজনৈতিক পরিবেশ অপরিহার্য।
 
ড. মঈন খান আরও বলেন, একটি প্রকৃত গণতান্ত্রিক পরিবেশ গড়ে তোলা এখন সময়ের দাবি। এতে শুধু অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতাই নয়, আন্তর্জাতিক বিশ্বেও বাংলাদেশের গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে।
 
ডেস্ক/ই.ই

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর