প্রকাশিত:
১৯ অক্টোবার ২০২৫, ১৫:৫০
শিল্পাঞ্চল সাভার-আশুলিয়ায় বেড়েছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। প্রায় ৮ মাস পরে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডেঙ্গু পরীক্ষার জন্য কিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে মাত্র ৫ শতাধিক। অপ্রতুল স্বাস্থ্যসেবা ও অপরিচ্ছন্ন পরিবেশেই রোগীদের বাধ্য হয়ে সেবা নিতে হচ্ছে বলে জানান রোগীরা।
হাসপাতাল ভর্তি রোগীরা জানান, সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে পর্যাপ্ত চিকিৎসক থাকলেও রোগীদের ডেঙ্গু পরীক্ষা করতে হয় বেসরকারি হাসপাতাল থেকে গিয়ে। বেসরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষা করে রোগীদের গুনতে হচ্ছে বাড়তি টাকা ও পোহাতে হচ্ছে ভোগান্তি। এছাড়া হাসপাতাল ওয়ার্ডে নেই পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা, অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে, মশার উপদ্রব ও টয়লেট দুুর্গন্ধ।
ডেঙ্গু আক্রান্ত ভর্তি রোগী ঝন্টু বলেন, হাসপাতালের চিকিৎসা ঠিক আছে। টয়লেট থেকে অনেক দুর্গন্ধ আসে। বেসরকারি হাসপাতাল থেকে ডেঙ্গু পরীক্ষা করাতে হয়েছে।
এ সময় ডেঙ্গু আক্রান্ত ফজলে রাব্বি বলেন, হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছি। কিন্তু হাসপাতালের পরিবেশ অপরিচ্ছন্ন ও টয়লেটের পরিবেশ অস্বাস্থ্যকর। হাসপাতাল ঠিকমতো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয় না। এছাড়া ডেঙ্গু রোগীদের হাসপাতালের ভেতরে ডেঙ্গু পরীক্ষা করানো হয়নি। তাই বাড়তি টাকা গুনতে হয়েছে বলে জানান তিনি।
সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালের আবাসিক মেডিকলে অফিসার সাইদুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, বর্তমানে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ১০ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছে। এদের মধ্যে ৫ জন পুরুষ ও ৫ জন নারী রোগী ভর্তি রয়েছে। এ মাসে এখন পর্যন্ত ১১০ জন রোগী চিকিৎসা নিয়েছে ও গত মাসে আমরা ১৮২ জনকে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীকে সেবা প্রদান করেছি। অনেক দিন থেকে আমাদের এখানে ডেঙ্গু পরীক্ষার কিট ছিল না। তবে আমরা বার বার কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। পরে এ বছরের সেপ্টেম্বরের ২৫ তারিখে ৫ শতাধিক কিট পাঠানো হয়েছে।
এ সময় হাসপাতালে অপরিষ্কার পরিবেশে কেন রোগীদের সেবা দেওয়া হচ্ছে প্রতিবেদকের এ প্রশ্নের জবাব তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করছি। তবে আমাদের পর্যাপ্ত জনবল নেই। আমাদের এখানে দুইজন ক্লিনার রয়েছে। তবে তারা দুইজনই অসুস্থ। কিন্তু তারপরেও আমরা চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।
ডেস্ক/ই.ই
মন্তব্য করুন: