[email protected] ঢাকা | বৃহঃস্পতিবার, ২৩শে অক্টোবর ২০২৫, ৭ই কার্তিক ১৪৩২
thecitybank.com

পাটের ফলন কমলেও দাম বেশি, ভালো লাভের আশা চাষিদের

চাঁপাই জার্নাল ডেস্ক:

প্রকাশিত:
২০ অক্টোবার ২০২৫, ১৪:২০

ছবি: সংগ্রহীত
খেত থেকে কেটে আনা পাটের আঁশ ছাড়ানোয় ব্যস্ত একদল নারী-পুরুষ। পুকুরে হাঁটুসমান পানিতে নেমে তারা কাজ করে চলেছেন নিরলসভাবে। এক হয়ে কাজ করা এসব নারী-পুরুষের মুখে দেখা যায় হাসি। কারণ চলতি মৌসুমে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় সোনালি আঁশ হিসেবে পরিচিত পাটের চাষাবাদ কমলেও দাম বেড়েছে।
 
গতবছরের তুলনায় এবার প্রতিমণ পাট বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকা বেশি দামে। এতে আবারও সোনালি আঁশে স্বপ্ন বুনতে শুরু করেছেন চাষিরা।
 
কৃষি অফিস জানায়, এই বছর ১ হাজারের বেশি কৃষকের মাঝে পাট চাষে প্রণোদনার সার-বীজ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া, চৈত্রের খরা আর বর্ষার অতিবৃষ্টির কারণে এবার ফলন আশানুরূপ না হলেও ভালো দাম পাচ্ছেন কৃষকরা। জেলায় এবার প্রতিমণ পাট বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ৭০০ টাকায়। গত বছর যা ছিল ২ থেকে ৩ হাজার টাকা।
 
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জে এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন পাট চাষিরা। কেউ পাট কাটছেন, কেউ জাগ দিচ্ছেন, কেউবা আঁশ ছাড়িয়ে রোদে শুকাতে দিচ্ছেন। এতে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও সমানভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
 
কৃষকরা জানান, বিঘাপ্রতি মাত্র ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা খরচ করে আয় হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত। তাই সোনালি আঁশ হিসেবে পরিচিত পাট চাষে নতুন স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা। তাই সরকারি সহায়তা ও সুযোগ-সুবিধা আরও বাড়ানোর দাবি জানান তারা।
 
পাট চাষি আব্দুর রহিম বলেন, এ বছর পাটের ফলন কম হলেও দাম ভালো আছে। গতবারের তুলনায় এবার দাম বেশি আছে আগামী বছর হয়ত দাম আরও বাড়বে।
 
মুরশালিন নামে আরেক চাষি বলেন, গতবারের তুলনায় দামটা এবার ভালো আছে। বৃষ্টির কারণে ফলন একটু কমেছে, কিন্তু দাম ভালো থাকায় কৃষকরা লাভবান হবেন।
 
চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক ড. মো. ইয়াছিন আলী বলেন, চলতি বছর প্রচুর বৃষ্টি হওয়ায় পাট জাগ দিতে কোনো সমস্যা হয়নি। এতে শ্রমিক খরচও অনেক কমে গেছে। পাশাপাশি পানির মান ভালো থাকায় পাটের আঁশও বেশ উন্নত মানের হয়েছে। বাজারে এখন মোটামুটি ভালো দাম মিলছে। এ ছাড়া, এ বছর ১ হাজারের বেশি কৃষকের মাঝে পাট চাষে প্রণোদনার সার-বীজ দেওয়া হয়েছে এবং আগামীতেও সহযোগিতা অব্যাহত রাখা হবে বলেও জানান তিনি।
 
উল্লেখ্য, জেলায় চলতি মৌসুমে প্রায় ৬ হাজার চাষি ২২৪০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ করেছেন। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮ হাজার ৬০০ মেট্রিক টন। ২০২৩ সালে ৩২৮৫ হেক্টর জমিতে পাটের চাষাবাদ হয়েছিল।
 
ডেস্ক/ই.ই

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর