কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) মো: জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, কোনো অবস্থাতেই ফসলি জমি নষ্ট করা যাবে না। দুই ফসলি ও তিন ফসলি জমিতে কোনো স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না।
তিনি বলেন, ‘কৃষি জমি সংরক্ষণে কঠোর বিধান রেখে ‘ভূমি ব্যবহার ও কৃষি ভূমি সুরক্ষা অধ্যাদেশ’ প্রণয়নের কাজ চলছে।’
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের গত এক বছরের সাফল্য, অর্জন ও সার্বিক অগ্রগতি সম্পর্কে জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ানসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘গত এক বছরে ৮৮ লাখ ৫৫ হাজার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মধ্যে বিনামূল্যে সার, বীজ, চারা এবং অন্যান্য সহায়তা বাবদ ৮৯৩ কোটি ২০ লাখ টাকা প্রণোদনা দেয়া হয়েছে।’
তিনি জানান, ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে দেশে আমন ১৬৫.১৪৫ লাখ মেট্রিক টন (চালে), আউশ ২৭.৯৩৪ লাখ মেট্রিক টন (চালে), বোরো ২২৬.৮২ লাখ মেট্রিক টন (চালে), মোট ধান (চালে) ৪১৯.১৬১ লাখ মেট্রিক টন, আলু ১১৫.৭৩৬ লাখ মেট্রিক টন, গম ১০.৪১১ লাখ মেট্রিক টন, ভুট্টা ৭৩.৯৯৪ লাখ মেট্রিক টন, পেঁয়াজ ৪৪.৪৮৭ লাখ মেট্রিক টন, রসুন ৭.৮৮৭ লাখ মেট্রিক টন, আদা ২.৫১৪ লাখ মেট্রিক টন, কাঁচা মরিচ ১৬.৪২৮ লাখ মেট্রিক টন উৎপাদিত হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘সারের বকেয়া ২০ হাজার ৬৯১ কোটি টাকাসহ মোট সাত হাজার ৬৮৪.৯৭ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। রাশিয়া থেকে বিনামূল্যে ৩০ হাজার মেট্রিক টন সার প্রাপ্তির কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। সার আমদানির সিন্ডিকেট ভেঙে দেয়ায় সরকারের ২৩৩.৬১ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে। ‘সার ডিলার নিয়োগ ও সার বিতরণ সংক্রান্ত সমন্বিত নীতিমালা-২০০৯’ হালনাগাদ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।’
পাটকলের অব্যবহৃত গুদামকে সার মজুতের জন্য ব্যবহার করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে উপদেষ্টা জানান।
ডেস্ক/ই.ই
মন্তব্য করুন: