প্রকাশিত:
২০ জুন ২০২৫, ১১:৪৮
জ্যৈষ্ঠ পেরিয়ে শুরু হয়েছে আষাঢ় মাস। এ মৌসুম জুড়ে অন্যতম আকর্ষণ ফলের রাজা আম। আমের রাজধানী খ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাজারে শেষের পর্যায়ে সুমিষ্ট খিরসাপাত আম। হারভেস্টের শুরুর দিকে অতিরিক্ত গরম ও দীর্ঘ টানা ঈদের ছুটির কারণে গত বছরের চেয়ে তুলনামূলক দাম কম থাকলেও শেষ পর্যায়ে এসে খিরসাপাত আমের দাম মণে প্রায় এক হাজার টাকা বেড়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের পুরাতন বাজার, শিবগঞ্জের কানসাট আম বাজার ও গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর আম বাজারে খিরসাপাত আম মণপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার দুইশত টাকায়। যা কয়েকদিন আগেও খিরসাপাত আম মণপ্রতি বিক্রি হচ্ছিলো ১৮০০ থেকে ২৮০০ টাকা মণে।
এছাড়া বাজার গুলোতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার জিআই স্বীকৃত খিরসাপাত আম ছাড়াও ল্যাংড়া, লক্ষণ ভোগ ও গুটিজাতের আম বিক্রি হচ্ছে। প্রতি মণ গুটি আম ৯৫০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা ও ল্যাংড়া আম ১ হাজার ৪০০ থেকে ২ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের পুরাতন বাজারের আম বিক্রেতা আশরাফুল ইসলাম জানান, মৌসুমের শুরুর দিকে খিরসাপাত আমের দাম গত বছরের তুলনায় অনেক কম ছিল। এখন এই জাতের আম শেষের দিকে হওয়ায় দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরেক আম চাষি মুশফিকুর জানান, গত কয়েকদিন আগেও যে আমের দাম ছিল ২ হাজার ৮০০ টাকা আজ সেই আম মণ প্রতি ৪ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ক্ষীরশাপাতির বাজার এরকম থাকলে আম চাষিরা কিছুটা হলেও আগের ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নিতে পারবে বলেও জানান তিনি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো ইয়াছিন আলী জানান, গরমে দ্রুত আম পেকে যাওয়ায় চাষিরা একসঙ্গে সব আম বাজারে নামায়। এতে আমের বাজার দর কমে যায়। তবে খিরসাপাতের মৌসুম এখন শেষের দিকে। বাজারে সরবরাহ কম, কিন্তু চাহিদা বেশি। তাই দাম ভালো পাচ্ছেন চাষিরা। এতে আগের ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নিতে পারবেন আম চাষিরা বলেও আশা করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৩৭ হাজার ৫০৪ হেক্টর জমিতে আম বাগান রয়েছে। এতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৮৬ হাজার টন।
এমএএ/আআ
মন্তব্য করুন: