[email protected] ঢাকা | শনিবার, ২১শে জুন ২০২৫, ৬ই আষাঢ় ১৪৩২
thecitybank.com

চাঁপাইনবাবগঞ্জে বাড়ছে হত্যাকাণ্ড

নিজস্ব প্রতিনিধি:

প্রকাশিত:
১৯ জুন ২০২৫, ২২:০৯

জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়। ছবি: সংগ্রহীত

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ ও গোমস্তাপুর উপজেলায় ঈদুল আজহার ছুটি চলার সময় গত এক সপ্তাহে ৫টি হত্যাকাণ্ড হয়েছে। এর মধ্যে জমিসংক্রান্ত বিরোধের কারণে তিনটি খুনের ঘটনা ঘটেছে। অন্যটি ক্রিকেট খেলার দ্বন্দ্ব নিয়ে ঘটেছে। এসব ঘটনায় আহত এক জনপ্রতিনিধিসহ ১১ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। শিবগঞ্জ ও গোমস্তাপুর ও সদর উপজেলায় থানায় এসব হত্যাকাণ্ডে মামলা হয়েছে।

৮ জুন খুন হন শিবগঞ্জ উপজেলার দাইপুখুরিয়া ইউনিয়নের কামালপুরের আলাউদ্দিনের ছেলে মাসুদ রানা । গত বৃহস্পতিবার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একই উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের বাবুপুরের হোসেন আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম ওরফে কালু মারা যান। গত শুক্রবার একই উপজেলারই মোবারকপুর ইউনিয়নের উপরটোলা গ্রামের সিদ্দিক বিশ্বাসের ছেলে নজরুল ইসলাম খুন হন। গোমস্তাপুর উপজেলার পার্বতীপুর ইউনিয়নের সুবইল গ্রামে গত সোমবার (৯ জুন) আবুল হোসেনের ছেলে আব্দুল বাসেদ নামের একজন নিহত হন।

১০ জুন চাঁপাইনবাবগঞ্জে চরমোহনপুর লাহাপাড়া এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ছোট ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে আব্দুর রশিদ নামে বড় ভাই নিহত হয়েছেন। তিনি একই এলাকার মৃত বেলাল উদ্দিনের ছেলে। ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছে ছোট ভাই তৌহিদুল ইসলাম বিকাশ ।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শিবগঞ্জ উপজেলার দাইপুখুরিয়া ইউনিয়নের কামালপুরের আশরাফুল ইসলামের সঙ্গে মাসুদ রানার পরিবারের জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। ঈদের আগে ঘাস কাটাকে কেন্দ্র করে আশরাফুল ও তাঁর দুই ছেলে ইসরাফিল ও কাফির সঙ্গে মাসুদ রানার ভাইয়ের বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। ৮ জুন রাতে বিষয়টি মীমাংসার কথা চলছিল। এরই মধ্যে মাসুদ রানার ওপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালানো হলে তিনি প্রাণ হারান। এ ঘটনায় আরও দুজনকে গুরুতর আহতাবস্তায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

গত সোমবার রাতে একই উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের বাবুপুরে জমির বিরোধে রফিকুল ইসলামের ওপর তাঁর আপন ভাতিজা আব্দুর রহমানসহ আরও কয়েকজন হামলা চালান বলে অভিযোগ উঠেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হলে গত বৃহস্পতিবার মারা যান তিনি। গত শুক্রবার (১৩ জুন) রাতে শিবগঞ্জ উপজেলার মোবারকপুর ইউনিয়নের ধোবপুকুর এলাকায় জমি নিয়ে বিরোধে নজরুল ইসলামের সঙ্গে তাঁর ভাতিজা আনাস ও আব্বাসের কথা-কাটাকাটি হয়। বাদানুবাদের একপযার্য়ে নজরুলকে তাঁরা ছুরিকাঘাত করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গুরুতর আহতাবস্তায় স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নজরুলকে মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে গত সোমবার (৯ জুন) গোমস্তাপুর উপজেলার পার্বতীপুর ইউনিয়নের সুবইল গ্রামে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আব্দুল বাসেদ নামের এক বৃদ্ধ নিহত হন। আর এই ঘটনায় আরও আটজন আহত হন।

একের পর এক হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে জানতে চাইলে চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম জানান, বেশির ভাগ হত্যাকাণ্ড জমিজমার বিরোধ নিয়ে ঘটছে। তাঁরা সালিসে বসে মারামারির একপর্যায়ে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। তারপরেই মারা যাচ্ছেন। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করি কেউ যেন আইন হাতে না তুলে নেয়। আর কেউ তুললে আমরা সেটার ব্যবস্থা নিচ্ছি।

তা.র/আ.আ


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর