[email protected] ঢাকা | শনিবার, ২১শে জুন ২০২৫, ৭ই আষাঢ় ১৪৩২
thecitybank.com

কাঙ্ক্ষিত দাম পাচ্ছেন না চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম চাষীরা

নিজস্ব প্রতিনিধি:

প্রকাশিত:
১৬ জুন ২০২৫, ১১:০৬

কানসাট আম বাজার। ছবি: চাঁপাই জার্নাল
আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এই বছর চাঁপাইনবাবগঞ্জে আমের বাম্পার ফলন হয়েছে। এরই মধ্যে জমে উঠেছে কানসাট আম বাজারের কেনা-বেচা। প্রতিদিন কয়েক হাজার মণ আম বিক্রি হচ্ছে এই বাজারে। তবে দীর্ঘ দাবদাহের কারণে এবার কয়েক জাতের আম একসাথে পেকেছে। ফলে সরবরাহ বেশি। তাই এই বছর ফলন ভালো হলেও গতবারের তুলনায় ভালো দাম পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম চাষীরা। 
 
রবিবার (১৫ জুন) সরজমিনে কানসাট বাজারে গিয়ে দেখা যায়, জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ডালিতে আম সাজিয়ে ভ্যানে করে আম বাজারে নিয়ে এসেছেন শত শত আমচাষী। বাজারে প্রবেশের জন্য ছোট ছোট সরু গলি পথে অপেক্ষা করছে আমবোঝাইকারী ভ্যান গাড়ীগুলো। তবে আম চাষীদের চোখে মুখে হতাশার চাপ। 
 
কয়েশ উদ্দিন নামের এক আম চাষী জানান, আজকে ল্যাংড়া আম ১২০০ থেকে  ১৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে এবং ৫২ কেজিতে মণ হিসেবে দিচ্ছি। আমের বাজারে দাম কম এবং আমাদের অনেক লস হচ্ছে। 
 
মাসুদ হাসান নামে আরেক আমচাষী বলেন, খিরসাপাত আম এখন শেষের দিকে। অনান্য বছরে এই সময় খিরসাপাত আমের দাম থাকে ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা মণ। কিন্ত খিরসাপাত আম শেষের পথে থাকলেও এই জাতের আম বিক্রি হচ্ছে মাত্র ১৮০০ থেকে ২৮০০ টাকা মণে।
 
মো: বকুল নামে আরেক আমচাষী বলেন, খিরসাপাত আম ১৮০০ থেকে ২৫০০ টাকা মণে বিক্রি হচ্ছে। আমে অনেক লস হচ্ছে, এই দামে আম বিক্রি করলে বিষ (কিটনাশক) খরচ উঠবে না।
 
কানসাট বাজারে দীর্ঘদিন যাবত আমের আড়ৎদারি করেন আব্দুল মানিক এবং তার নিজেরও আমের বাগান রয়েছে। আব্দুল মানিক জানান, খিরসাপাত আম ১৮০০ থেকে ২৮০০ টাকা মণে কেনাবেচা হচ্ছে এবং ল্যাংড়া কেনাবেচা হচ্ছে ১২০০ থেকে ১৮০০ টাকা মণ। 
 
চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মুনজের আলম মানিক বলেন, ঈদুল আজহার দীর্ঘ ছুটির কারনে ঢাকায় অনেক আম গিয়ে জমা হয়ে আছে। ঢাকাবাসী নিজ নিজ এলাকায় ঈদের ছুটিতে আসার কারণে এই সমস্যাটি সৃষ্টি হয়ছে। এছাড়া আমের দাম গতবারের তুলনায় কম আছে। তবে এই বছর সার, কীটনাশক বা ছত্রাকনাশকের দাম এবং সেচ ও শ্রমিকের খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় উৎপাদনের খরচ বেড়েছে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ। কিন্তু সে অনুযায়ী দাম না পাওয়ায় লোকসান গুনতে হচ্ছে।
 
শিবগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ নয়ন মিয়া বলেন, এই বছর আমের ফলন ভালো হয়েছে। তবে অনেক গরমের কারনে আমগুলো একসাথে পেকে যাচ্ছে। এছাড়া ঈদের দীর্ঘ ছুটিও আমের বাজারে একটা প্রভাব ফেলেছে। তবে আশা করছি আমচাষীরা সামনের দিকে আমের দাম ভালো পাবে।
 
প্রসঙ্গত, কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, চলতি মৌসুমে চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৩৭ হাজার ৫০৪ হেক্টর জমিতে আম বাগান রয়েছে। এতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে তিন লাখ ৮৬ হাজার টন।
 
এমএএ/আআ

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর