[email protected] ঢাকা | শনিবার, ২১শে জুন ২০২৫, ৭ই আষাঢ় ১৪৩২
thecitybank.com

১৫০ টাকা কেজির আম মিলছে মাত্র সাড়ে তিন টাকা কেজিতে

নিজস্ব প্রতিনিধি:

প্রকাশিত:
১৮ মে ২০২৫, ২২:৪৮

ছবি: সংগ্রহীত

গত কয়েকদিনের ঝড়-বৃষ্টিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং অনেক আম ঝড়ে পড়ে গেছে। আর এই ঝরে পড়া অপরিপক্ক আম মাত্র সাড়ে তিন থেকে চার টাকায় বিক্রি করছেন আম চাষী ও স্থানীয়রা। এতে সামন্য কিছু টাকা পেলেও  দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে আমচাষীদের।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত শুক্রবার ও শনিবারের রাতের ঝড়-বৃষ্টিতে জেলার পাঁচ উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গোমস্তাপুর উপজেলায়। ঝড়ে ঝরে পড়েছে ফজলি, গোপালভোগ, আশ্বিনা, খিরসাপাতি, গুটিসহ বিভিন্ন জাতের অপরিপক্ব আম। এসব ঝরে পড়া আম বাধ্য হয়েই সাড়ে তিন থেকে চার টাকা কেজি দরে আচারের আম হিসেবে বিক্রি করছেন চাষিরা। তবে কেউ কেউ বাগান থেকে কুঁড়িয়ে নিয়ে এসেও পাইকারদের কাছে বিক্রি করছেন।

আমচাষি ও ব্যবসায়ীরা জানায়, গত দুইদিন জেলায় ঝড়-বৃষ্টি হয়েছে। এ সময় গাছ থেকে অনেক অপরিপক্ব আম ঝরে পড়ে। এসব আম গ্রামের মানুষজন কুড়িয়ে সাড়ে তিন থেকে চার টাকা কেজি দরে বিক্রি করে। আমের জাতভেদে একেক রকম দামে বিক্রি হয়েছে এসব আম। তবে কয়েকদিন পরেই এসব আম ১০০-১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা যেত।

আমচাষি তামিম বলেন, হঠাৎ শুক্রবার রাতে ব্যাপক বৃষ্টির সঙ্গে ঝড় হয়। এতে অনেক আম পড়ে নষ্ট হয়। এসব আম গ্রামের অনেকেই কুড়িয়ে সাড়ে তিনি থেকে চার টাকা কেজি দরে বিক্রি করছে।

পাইকারী ব্যবসায়ী সেলিম রেজা বলেন, ঝড়ে পড়া আম তেমন কাজে লাগে না। তাছাড়া আমগুলো পরিপক্ব নয়। তাই আচার করেন অনেকেই। তবে অনেক বেশি আম হওয়ার কারণে বাধ্য হয়েই বিক্রি করতে হয়।

পাইকারি ব্যবসায়ী মাসুদ হাসান জানান, ঝড়ে পড়া আমে দাগ পড়ে নষ্ট হয়ে যায়। তাই বেশির ভাগ সময় আম পরিপক্ব থাকলে তা স্থানীয় জুস ফ্যাক্টরিতে চলে যায়। তবে এখন আম অপরিপক্ব হওয়ায় জুসের পাল্প করা যাবে না। তাই কম দামে কিনে ট্রাকে করে ঢাকায় পাঠিয়ে দেই।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক ড. মো. ইয়াছিন আলী বলেন, গত দুইদিনে জেলার বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক ঝড়-বৃষ্টি হয়েছে। তবে গোমস্তাপুরে ক্ষতির পরিমাণ তুলনামূলক বেশি। ঝড়ে আম ও লিচুর অনেক ক্ষতি হয়েছে। অনেক অপরিপক্ব আম গাছ থেকে ঝরে পড়েছে। এসব আম তেমন কোনো কাজে না আসায় কম দামে বিক্রি হয়।

প্রসঙ্গত, কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে জেলায় ৩৭ হাজার ৫০৪ হেক্টর জমির আম বাগান থেকে ৩ লাখ ৮৬ হাজার মেট্রিকটন আম উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এমএএ/আআ


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর