[email protected] ঢাকা | শুক্রবার, ২৪শে অক্টোবর ২০২৫, ৯ই কার্তিক ১৪৩২
thecitybank.com

আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষনের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিনিধি:

প্রকাশিত:
২৩ অক্টোবার ২০২৫, ১২:২৫

অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা আমিরুল ইসলাম নাইরুল। ছবি: সংগ্রহীত

চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নে এক প্রতিবন্ধি নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে।

অভিযুক্ত ব্যাক্তি হলেন, আমিরুল ইসলাম ওরফে নাইরুল আর্মি। তার বাড়ি মহারাজপুর ইউনিয়নের মিনটোলা এলাকায়। তিনি আওয়ামী লীগের একজন একনিষ্ঠ কর্মী এবং মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ নাহিদ ইসলাম রাজনের ডান হিসেবে এলাকায় পরিচিত।

জানা যায়, গত দুই মাস আগে প্রতিবেশী এক মানসিক প্রতিবন্ধি নারীকে নিজ বাড়িতে নিয়ে যান নাইরুল ইসলাম। পরে ফাঁকা বাড়িতে সেই প্রতিবন্ধি নারীকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ধর্ষন করেন । বিষয়টি ধর্ষক নাইরুলের স্ত্রী জেনে নিলে গর্ভের বাচ্চা নষ্টের উদ্দেশ্যে গোপনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের স্বনামধন্য একটি প্রাইভেট হাসপাতালে সেই নারীকে মেডিকেল টেস্ট করানো হয়। কিন্ত ধর্ষিতা নারীর গর্ভে বাচ্চা না আসায় হাফ ছেড়ে বাচেন নাইরুল ইসলামসহ তার পরিবার। ধর্ষিতা নারী বিয়ের জন্য ধর্ষক নাইরুলকে চাপ দিলে নাইরুলসহ তার গুন্ডাপান্ডা দিয়ে  সেই ধর্ষিতা নারীসহ তার পরিবারকে হুমকি ধামকি দিয়ে এই বিষয়ে মুখ খুলতে বারণ করেন তিনি। তবে ধর্ষিতা নারীটি মানসিক প্রতিবন্ধি হওয়ার কারণে এলাকাবাসীর কাছে তার সাথে ঘটে যাওয়া ন্যাক্কারজনক বিষয়টি জানিয়ে বিচার চাইছে এবং পূর্ব প্রতিশ্রুতি মোতাবেক বিয়ের জন্য এলাকাবাসীর দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন । এরপর থেকে এলাকাবাসীর মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। এলাকাবাসীর দাবি, দুইজনের মেডিকেল পরীক্ষার মাধ্যমে সঠিক প্রমানসাপেক্ষে  শাস্তি  প্রদান করা হোক। এছাড়া এ নিয়ে এলাকার কয়েকজন ধর্ষক নাইরুলের সাথে বিষয়টি মিটিয়ে ফেলার কথা বললে সে সবাইকে হুমকি ধামকি দিয়ে মুখ বন্ধ করে দেয়।

এছাড়াও এলাকাবাসী জানান, নাইরুল আর্মি আওয়ামী লীগ আমলে এলাকাবাসীর উপর অনেক অন্যায় অত্যাচার করতো। মানুষের বাড়ি ভেঙ্গে দখল, ককটেল বাজী করে মসজিদ ভাংগা, বিদ্যুত অফিসের লোকজনের সাথে মারামারি, স্থানীয় বিচার সালিসে ক্ষমতা দেখিয়ে বিচারের রায় পক্ষে করাসহ হেন কোন অপরাধ নাই কুখ্যাত নাইরুল করেনি। এসব বিষয় নিয়ে এলাকার প্রায় সব মানুষের সাথে দ্বন্দ তার নিত্যদিনের কাজ। সে একজন সাবেক সেনা সদস্য হওয়ায় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ সেনাকর্মকর্তার নাম ভাঙ্গিয়ে এলাকার মানুষকে আতংকিত করে রেখেছে এবং এলাকাবাসী ভয়ে তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে পারছে না। আওয়ামী লীগ পালিয়ে গেলেও তার আগের মতো দাপট এখনো রয়ে গেছে। এহেন কর্মকান্ডের জন্য এলাকায় সে "আজরাইল"  নামে বেশি পরিচিত। এলাকাবাসী প্রশাসনের কাছে বিশেষ করে সেনাবাহিনীর কাছে সন্ত্রাসী ও ধর্ষক নাইরুলের  দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। উপযুক্ত শাস্তি না হলে পুরো এলাকাবাসী থানা ঘেরাও সহ শহরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করবে বলেও জানান।

তবে এই বিষয়ে আমিরুল ইসলাম নাইরুল জানান, বিষয়টি ভিত্তিহীন ও মিথ্যা। আমার প্রতিপক্ষ আমাকে ফাঁসানোর জন্য এইসব গুজব ছড়াচ্ছে।

তবে এই বিষয়ে থানায় কোন অভিযোগ দায়ের না হওয়ায় পুলিশের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এমএএ/আআ


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর